Wednesday, 4 December 2013

ll পড়ার জন্য অনুরোধ রইল ll একটি সত্য ঘটনা যা এক গুরুত্বপূর্ণ চিন্তার

জন্ম দেয়ঃ
এক গরীব স্বামী-স্ত্রী একটি ছোট
গ্রামে বাস করতেন। তাদের একমাত্র
ছেলে ছাড়া অন্য কোন সন্তান ছিল না।
তারা তাকে সবচেয়ে সেরা শিক্ষায়
শিক্ষিত করে তোলেন।
ছেলে গ্রামের কাছের একটি শহর
হতে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে।
ভাগ্যবশত, সে এক
ধনী মেয়েকে বিয়ে করে।

প্রথমদিকে, ছেলে আর তার বউ তার
বাবা মায়ের সাথেই গ্রামে থাকতো।
শীঘ্রই
ছেলের বউ গ্রাম্য
পরিবেশে হাপিয়ে ওঠে আর
তার স্বামীকে তার মা-
বাবাকে ছেড়ে শহরে থাকতে।
কিছুদিন পরেই ছেলে পত্রিকায়
বিদেশে একটি চাকুরির বিজ্ঞাপন
দেখতে পায়। সে সেই
চাকুরিটা পেয়ে যায়, আর তার
বউকে নিয়ে বিদেশে চলে যায়।
নিয়মিত সে মা-
বাবাকে টাকা পাঠাতে থাকে।

কিন্তু একসময়, সে টাকা পাঠানো বন্ধ
করে দেয়।
আর তার মা- বাবা যে জীবিত
সে কথা ভুলেই যায়।
প্রতি বছর সে হাজ্জ করতে থাকে। একবার
হাজ্জ করে ফিরে এসে সে স্বপ্নে দেখে
কে যেন তাকে বলছে , ‘তোমার হাজ্জ
কবুল হয় নি।’
একদিন সে তার এই সব ঘটনা এক
মুত্তক্বী ‘আলেমের নিকট খুলে বলল।
‘আলেম তাকে তার
দেশে ফিরে গিয়ে মা-বাবার
সাথে দেখা করতে পরামর্শ দেয়।
সে তার দেশে ফিরে গেল, সে তার
গ্রামের সীমানায় প্রবেশ
করল। কিন্তু সে দেখল, সব কিছুই কেমন
যেন বদলে গেছে। সে তার
বাড়ি খুজে পেল না। সে এক ছোট
ছেলেকে তার বাড়ির অবস্থানের
কিছু বর্ণনা দিল। ছোট
ছেলেটি তাকে একটি বাড়ির
দিকে ইশারা করে বললঃ “এই
বাড়িতে এক
অন্ধ বৃদ্ধা মহিলা থাকেন যার
স্বামী কয়েক মাস আগেই
মারা যান। তার একমাত্র ছেলে ছিল
যে কিনা বহু বছর
আগে বিদেশে চলে যায়, আর ফেরেনি।
কত
বড় দূর্ভাগ্যবান লোক!”

ছেলে তার বাড়িতে প্রবেশ করে দেখল
যে তার
মা বিছানায় শুয়ে আছেন।
সে নিঃশব্দে প্রবেশ
করল যাতে তার মা জেগে না ওঠে।
সে শুনলো তার মা কি যেন
একা একা চুপি চুপি বলছেন। সে তার
আরো কাছে আসলো যাতে তার
কথা শুনতে পারে।

সে শুনলো তার মা বলছেন, “হে আল্লাহ!
আমি এখন
অনেক বৃদ্ধ আর অন্ধ। আমার স্বামী ও
মারা গেছেন। এখন
আমাকে কবরে নামানোর মত
কোন মাহরাম পুরুষ নেই। তাই
দয়া করে আমার
ছেলেকে আমার শেষ ইচ্ছাটা পূরণের জন্য
আমার কাছে পাঠিয়ে দাও।”
এখানেই গল্পের শেষ আর এখানেই সেই
মা এর দু’আ আল্লাহ কবুল করলেন।

। মাকে কেউ কষ্ট দিওনা।

*** LIKE & SHARE MUST ***

0 comments: